Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

সকল দরুদ শরিফ একসাথে ( দুরুদে ইব্রাহীম ) durood sharif bangla

সকল দরুদ শরিফ একসাথে ( দুরুদে ইব্রাহীম ) durood sharif bangla



সকল দরুদ শরিফ একসাথে ( দুরুদে ইব্রাহীম ) durood sharif bangla




















আরবি ও বাংলা উচ্চারণ, অর্থ সহঃ 


اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ. وَّعَلٰى اٰلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى اِبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى اٰلِ اِبْرَاهِيْمَ' اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ. اَللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ. وَّعَلٰى اٰلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى اِبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى اٰلِ اِبْرَاهِيْمَ. اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ.

দুরুদ শরিফ বাংলা উচ্চারন

আল্লাাহুম্মা সল্লি ‘আলাা মুহাম্মাদ, ওয়া ‘আলাা আালি মুহাম্মাদ, কামাা সল্লাইতা, আলাা ইবরাাহীমা 
ওয়া ‘আলাা আালি ইবরাাহীম, ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লাাহুম্মা বাারিক ‘আলাা মুহাম্মাদ ওয়া 
আলাা আালি মুহাম্মাদ, কামাা বাারকতা ‘আলাা ইবরাাহীমা ওয়া ‘আলাা আালি ইবরাহীম, ইন্নাকা 
হামীদুম মাজীদ।


অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর বংশধরের প্রতি রহমত 
নাযিল করো যেমন রহমত নাযিল করেছিলে ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ও তাঁর বংশধরের প্রতি। নিশ্চয় তুমি প্রশংসনীয় ও মর্যাদাবান। হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও 
তাঁর বংশধরের প্রতি বরকত নাযিল করো যেমন বরকত নাযিল করেছিলে ইবরাহীম আলাইহিস 
সালাম ও তাঁর বংশধরের প্রতি। নিশ্চয় তুমি প্রশংসনীয় ও মর্যাদাবান। (সহীহ বুখারী, হাদীস:২৯৭০)

ফযীলত
হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আবি লায়লা বলেন, আমার সাথে হযরত কা‘ব ইবনে 
উজরা রা. এর সাক্ষাত হল। তিনি বললেন, আমি কি তোমাকে এমন একটি হাদিয়া দিবো যা 
আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে শুনেছি? আমি বললাম, হ্যা আমাকে 
সেই হাদিয়া দিন। তিনি বললেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা 
করেছি যে, হে আল্লাহর রাসূল, আপনার প্রতি সালাম প্রেরণ করার বিষয়টি তো আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে শিখিয়েছেন কিন্তু আমরা আপনার ও আপনার পরিবারবর্গের উপর দুরূদ কীভাবে 
পাঠাব? (উত্তরে) তিনি বলেন দরুদে ইব্রাহিম পাঠ কর।


দুরূদ শরীফের ফজিলত

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শুধু মানব জাতিই নয়, সমগ্র বিশ্ব জাহানের জন্য রহমত স্বরূপ। 
(আল্লাহ সূরা আম্বিয়ার ১০৭ নং আয়াতে বলেন-)আমি আপনাকেই শুধুমাত্র সমগ্র বিশ্ব 
জাহানের জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরণ করেছি। যিনি আমাদের জন্য রহমত। তাই প্রতিক্ষণ 
পাঠকদের জন্য দরূদ পাঠের ফজিলত তুলে ধরা হলো- হজরত রসুলে পাক সাল্লাল্লাহু 
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 
কিয়ামতের দিন আমার সঙ্গী হওয়ার সবচেয়ে অধিক উপযুক্ত ওই ব্যক্তি যে আমার প্রতি 
সবচেয়ে বেশি দরুদ পাঠ করে। (তিরমিজী শরিফ) 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- ‘ঐ ব্যক্তি কিয়ামতের দিন আমার 
সবচেয়ে নিকটে থাকবে, যে আমার উপর বেশি বেশি দুরূদ পাঠ করে। (তিরমিযী শরিফের  হাদীস)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরূদ 
শরীফ পাঠ করবে আল্লাহ তা‘আলা তার উপর দশটি রহমত নাযিল করবেন, তার দশটি গুনাহ 
মাফ করবেন এবং দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন। (মুসতাদরাকে হাকেম হাদীস নং-২০৫৬)



রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- আল্লাহ তা‘আলা বহু সংখ্যক 
ফেরেশতা এ কাজের জন্য নিয়োজিত রেখেছেন যে, তাঁরা জমীনে বিচরণ করতে থাকবে এবং 
আমার উম্মতের যে ব্যক্তি আমার উপর দুরূদ ও সালাম পাঠাবে (তাঁরা) তা আমার নিকট পৌঁছে 
দিবে।  (নাসাঈ হাদীস নং-১২৮২/

নবী করিম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- যে ব্যক্তি সকালে আমার উপর দশবার 
দুরূদ পড়বে এবং সন্ধ্যায় দশবার দুরূদ পড়বে কিয়ামতের দিন আমি তার জন্য সুপারিশ করব। (ত্ববারানী আউসাত হাদীস নং-৫২৩, নাসায়ী সুনানে কুবরা, হাদীস:৯৮৯০)

উবাইদুল্লাহ বিন উমর কাওয়ারী রহ. বর্ণনা করেন, আমার প্রতিবেশী একজন কতিব ছিলেন। 
তার ইনতিকালের পর স্বপ্নে তার সাথে আমার সাক্ষাৎ হল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আল্লাহ তা
আলা আপনার সাথে কিরূপ আচরণ করেছেন? তিনি উত্তর দিলেন- আমাকে মাফ করে দিয়েছেন। আমি কারণ জিজ্ঞাসা করায় তিনি উত্তরে বললেন, কিতাব লেখার সময় যখনই নবী সাল্লাল্লাহু 
আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারক আসত, তখনই হুযুরের নামের সাথে সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি 
ওয়া সাল্লাম লেখা আমার অভ্যাস ছিল। এর বিনিময়ে আল্লাহ তা‘আলা আমাকে এমন নিয়ামত 
দান করেছেন, যা কোন চোখ কখনো দেখেনি, কোন কান কখনো শুনেনি, কোন অন্তর 
কখনো তার কল্পনাও করেনি। সুবাহানাল্লাহ,



হে ঈমানদারগণ! তোমরাও নবীর উপর দরুদ পাঠ কর এবং উত্তমরুপে সালাম পেশ কর।
 (কুরআন মাজীদ ৩৩/৫৬)
আর মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরুদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার উপর ১০ বার রহ্‌মত বর্ষণ করবেন।   (মুসলিম, মিশকাত শরিফ ৯২১ নং)

অন্য এক বর্ণনায় আছে, এবং তার ১০টি পাপ মোচন হবে ও সে ১০টি মর্যাদায় উন্নীত হবে।
মিশকাত ৯২২নং)
সাহাবাগণ তাঁকে বললেন, ‘আমরা আপনার উপর দরুদ কিভাবে পাঠ করব?’ তখন তিনি 
তাঁদেরকে দরুদ শিক্ষা দিলেন। 
(বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৯১৯ _ ৯২০নং

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি আমার 
প্রতি একবার দরুদ পাঠ করে, আল্লাহপাক তার প্রতি দশটি রহমত নাজিল করেন, তার দশটি 
গুনাহ মিটিয়ে দেওয়া হয় এবং তার জন্য দশটি মর্তবা বুলন্দ করা হয়। (নাসায়ী শরিফ)।

 হজরত ওমর বিন খাত্তাব (রা.) বলেন, নিশ্চয় বান্দার দোয়া-মোনাজাত আসমান ও জমিনের 
মাঝখানে ঝুলানো থাকে, তার কোনো কিছু আল্লাহপাকের নিকট পৌঁছে না যতক্ষণ না বান্দা 
তোমার নবীর প্রতি দরুদ পাঠ করবে। 
(তিরমিজী শরিফ)।



হযরত আবু উমামা (রা.) হতে বর্ণিত, হযরত রসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, 
মানুষের যে দল কোনো মজলিসের কাজ শেষ করে আল্লাহপাকের জিকর ও দরূদ পাঠ না করে 
সেখানে থেকে উঠে পড়বে তাদের ওই মজলিস তাদের জন্য দুঃখ-কষ্টের কারণ হবে। 

হযরত আলী (রা.) হতে বর্ণিত, হযরত রসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কৃপণ 
ওই ব্যক্তি যার নিকট আমার নাম উচ্চারিত হলো, কিন্তু সে আমার নাম শুনে আমার প্রতি দরূদ 
পাঠ করল না।  (তিরমিজি শরিফ)


দুরুদ শরীফ পড়ার উত্তম সময়


দুরুদ শরীফ পড়ার উত্তম সময়




















১) নামাযের শেষ বৈঠকে তাশাহ্হুদ পাঠ করার পর।
২) জানাযার নামাযে ২য় তাকবীর বলার পর।
৩) জুম’আর দিবসে।
৪) মুয়াজ্জিনের আযান শোনার পর।
৫) মসজিদে প্রবেশের পূর্বে এবং তা হতে বের হওয়ার পূর্বে।
৬) সাফা ও মারওয়া সা’য়ী করার সময়।
৭) কোন মজলিস থেকে পৃথক হওয়ার পূর্বে।
৮) সকাল-সন্ধা।
৯) পাঠ শুরু করার পূর্বে এবং শেষ করার পূর্বে।
১০) দু’আ বা মুনাজাত করার সময়।



দোজখের আযাব মাফ হওয়ার দুরুদ শরীফ


هُمَّ اِنِّي اَصْبَحْتُ اَشْهَدُكَ وَاَشْهَدُ حَمَلَةِ عَرْشِكَ وَمَلٰئِكَتِكَ وَجَمِيْعِ خَلْقِكَ اِنَّكَ اَنْتَ اللهُ لَااِلَهَ اِلاَّ اَنْتَ وَحْدَكَ لاَ شَرِيْكَ لَكَ وَاَنَّ مُحَمَّدً عَبْدَكَ وَرَسُوْلُكَ-

উচ্চারণ :(আল্লাহুম্মা ইন্নি আস্বাহতু আশহাদুকা ওয়া আশহাদু হামালাতি আরশিকা, ওয়া মলাইকাতিকা, ওয়া জামী-’ই খলক্বিকা ইন্নাকা আন্তাল্লাহু লা- ইলাহা ইল্লা আন্তা, ওয়াহ্দাকা লা-শারীকালাকা, 
ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুকা ওয়া রাসূলুকা)

ফযিলত: 
হযরত আনাস (রা:) থেকে বর্ণিত, রাসূলে আকরাম (দ:) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি এই দুরূদ শরীফ সকালে বা সন্ধ্যায় ১বার পাঠ করবে, আল্লাহ তা'আলা তার এক চতুর্থাংশ দোজখের আজাব মাফ 
করবেন এবং দুইবার পাঠ করলে অর্ধেক আজাব মাফ করবেন এবং তিনবার পাঠ করলে তিন 
চতুর্থাংশ এবং ৪বার পাঠ করলে আল্লাহ তা’আলা তাকে সম্পূর্ণ দোযখের আযাব থেকে রেহাই দেবেন।


দরুদে ফাতিহ:

اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ وَبَارِكْ عَلىٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ اَلْفَاتِحِ لِمَا اَغْلَقَ وَالْخَاتِمِ لِمَا سَبَقَ وَالنَّاصِرِ الْحَقِّ بِا لْحَقِّ وَالْهَادِيْ اِلىٰ صِرَاطِكَ الْمُسْتَقِيْمِ صَلَّي اللهُ عَلَيْهِ وَعَلىٰ اٰلِهٖ وَاَصْحَابِهِ حَقَّ قَدْرِهٖ وَمُقَدَّرِهٖ العَظِيْمِ

উচ্চারণ :(আল্লাহুম্মা ছাল্লি ওয়াসাল্লিম ওয়া বারিক আ’লা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন, আল 
ফাতিহি লিমা আগ্লাক্বা ওয়াল খাতিমি লিমা সাবাক্বা, ওয়ান্ন-ছিরিল হাক্কি বিল হাক্কি ওয়াল 
হাদী ইলা সিরাতিক্বাল্ মুসতাক্বীম। সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া আ’লা আলিহি ওয়া আছহাবিহী 
হাক্কা ক্বাদরিহী ওয়া মিক্বদারিহিল আযীম)

ফযিলত: 
এই দুরূদ শরীফ জীবনে একবার পড়লে তান জন্য জাহান্নাম হারাম হয়ে যাবে। 
বৃহস্পতিবার রাতে ১০০ বার পড়লে ৪০০ বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। ভীষণ মুছিবতে 
পডলে ৫ওয়াক্ত নামাজ বা’দ এই দুরূদ শরীফ ১০০ বার এবং ‘ইয়া লাত্বীফু’ ১০০ বার পাঠ করলে ইন্শাআল্লাহ যত বড় বিপদই হোক বিপদ মুক্ত হবে। একবার এই দুরূদ শরীফ পড়লে ৬ লক্ষ দুরূদ পড়ার ছাওয়াব পাওয়া যাবে। সৌভাগ্যবান ব্যক্তি হজ্জ- ওমরাহ যিয়ারতে গিয়ে পবিত্র 
মক্কা শরীফে ১ বার পাঠ করেন তবেÑ আল্লাহর রহমত পাওয়া যাবে ৬০ হাজার কোটি, 
নেকী পাওয়া যাবে ৬০ হাজার কোটি, বেহেশতের মর্তবা পাবে ৬০ হাজার কোটি, 
গুনাহ মাফ হবে ৬০ হাজার কোটি, ৬০ হাজার কোটি গোলাম আযাদের সম পরিমান 
সাওয়াব পাবে, এবং ১২০ হাজার কোটি অর্জন হবে। “সুবহানাল্লাহ”। আর মদীনা শরীফে 
পড়ার সাওয়াব লিখা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। (আমলে আলো ৫ম খন্ড)



দরূদে নারিয়া বা সালাতে নারিয়া দরুদ শরিফ


اَللّٰهُمَّ صَلِّ صَلٰوةً كَامِلَةً وَسَلِّمْ سَلَامًا تَامًّا عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدِنِ الَّذِيْ تَنْحَلُّ بِهِ الْعُقَدُ وَتَنْفَرِجُ بِهِ الْكُرَبُ وَتُقْضىٰ بِهِ الْحَوَائِجُ وَتُنَالُ بِهِ الرَّغَائِبُ وَحُسْنُ الْخَوَاتِمِ وَيُسْتَسْقَي الْغَمَامُ بِوَجْهِهٖ الْكَرِيْمِ وَعَليٰ اٰلِهٖ وَصَحْبِهٖ فِي كُلِّ لَمْحَةٍ وَّنَفَسٍ بِعَدَدِ كُلِّ مَعْلُوْمٍ لَكَ-

বাংলা উচ্চারনঃ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি ছালাতান কামিলাতান ওয়া সাল্লিম সালামান তাম্মান আ’লা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিনিল্লাযী তানহাল্লু বিহীল উক্বাদু ওয়া তানফারিজু বিহীল কুরাবু ওয়া তুক্বদ-বিহীল হাওয়ায়িজু 
ওয়া তুনালু বিহীর রাগাইবু ওয়া হুসনুল খওয়াতিমু ওয়া ইউস্ তাস্কাল গামামু বিওয়াজ হিহিল কারীম,
ওয়া আ’লা আলিহী ওয়া ছাহবিহী ফী কুল্লি লাম্হাতিন ওয়া নাফাসিম বিআদাদি কুল্লি মা’লুমল্লাক্)

ফযিলত:
দুরারোগ্য, বালা-মুছিবত, চাকুরী লাভের জন্য, ব্যবসার উন্নতি ও যে কোন আশা পূরণের জন্য 
এবং বিবাহ হওয়ার জন্য ৪৪৪৪ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ সফল হবেন।



দুনিয়াতে জান্নাত দেখার দুরূদ শরীফ

صَلَّى اللهُ عَليٰ حَبِيْبِهٖ مُحَمَّدٍ وَاٰلِهٖ وَسلَّمَ

(ছাল্লাল্লাহু আলা হাবীবিহী মুহাম্মাদিন ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লিম।)

ফযিলত:
যে ব্যক্তি এই দুরূদ শরীফ একাধারে এক হাজার বার পাঠ করবে, তার মৃত্যুর পূর্বে সে 
ইনশা'আল্লাহ  জান্নাতে তার স্থান ও জান্নাতের ঘর দেখতে পাবে।



দরূদে তুনাজ্জিনা

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ وَعَليٰ اٰلِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ صَلوٰةً تُنَجِّيْنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ الْأَهْوَالِ وَاْلآفَاتِ وَتَقْضِيْ لَنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ الْحَاجَاتِ وَتُطَهِّرُنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ السَّيِّاٰتِ وَتَرْفَعُنَا بِهَا عِنْدَكَ اَعْليٰ الدَّرَجَاتِ وَتُبَلِّغُنَا بِهَا اَقْصىٰ الْغَايَاتِ مِنْ جَمِيْعِ الْخَيْرَاتِ فِي الْحَيَاتِ وَبَعْدَ الْمَمَاتِ- اِنَّكَ عَليٰ كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٍ بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ-

(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মাদিন ওয়ালা আ-লি সয়্যিদিনা মাওলানা 
মুহাম্মাদিন সালাতান তুনাজ্জিনা বিহা মিন জামীয়িল আহ্ওয়ালি ওয়াল আফাত, ওয়া ত্বাক্দি 
লানা মিন জামীয়িল হাজাত। ওয়া তুতাহ্হিনরুনা বিহা মিন জামীয়িস্ সাইয়্যিআত।
ওয়া তারফউনা বিহা ইন্দাকা আ’লাদ্দারাজাত। ওয়া তুবাল্লিগুনা বিহা আকসাল গায়াত 
মিন জামীয়িল খাইরাত ফিল হয়াতি ওয়া বা’দাল মামাত। ইন্নাকা আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর;
বিরহমাতিকা ইয়া আরহার্মা রহিমীন।)


ফযিলত:
পাক সাফ স্থানে বসে ১হাজার বার পাঠ করলে গুরুতর মোকাদ্দামায় ও আশ্চর্য সুফল পাওয়া যায়। 
প্রত্যহ ফজর ও মাগরিবের পর ১১বার এই দুরূদ শরীফ পাঠ করলে কখনো চাকরি যাবেনা ও রিযিক 
বন্ধ হবেনা।

এই দুরূদ শরীফ ৩বার টাঠ করে ১মুষ্টি মাটির উপর ৩বার ফুঁক দিয়ে কবরের উপর ছিটিয়ে দিলে 
শিয়াল কুকুর দ্বারা ঐ কবরের লাশ নষ্ট হবেনা।


দরূদে ফুতুহাত

بِسْمِ اللهِ اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا وَعَلٰي اٰلِهٖ بِعَدَدِ اَنْوَاعِ الرِّزْقِ وَالْفُتُوْحَاتِ يَابَاسِطَ الَّذِيْ يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ يَّشَاءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ- اُبْسُطْ عَلَيْنَا رِزْقًاوَاسِعًا مِنْ كُلِّ جِهَةٍ مِّنْ خَزَائِنِ غَيْبِكَ بِغَيْرِ مِنَّةٍ مَّخْلُوْقٍ ِبۢمَحْضٍ فَضْلِكَ وَكَرَمِكَ بِغَيْرِ حِسَابٍ-

(বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা সাল্লি আ’লা সাইয়্যিদিনা ওয়া আ’লা আলিহি বি আদাদি আনওয়াইর 
রিজক্বি ওয়াল ফুতুহাতি ইয়া বা-সিতাল্লাযী ইয়াব্সুতুর রিয্কা লিমাঁই ইয়াশাউ বিগাইরি হিসাব। 
উসবুত আলাইনা রিয্কাঁও ওয়াসিআম্ মিন কুল্লি জিহাতিম মিন খাযায়িনি গাইবিকা বিগাইরি 
মান্নাতিম্ মাখলুক্বিম বিমাহ্দি ফাদ্লি কা ওয়া কারামিকা বিগাইরি হিসাব)


ফযিলত:
এই দুরূদ শরীফ ৩বার পাঠ করলে জীবনে কখনো অবনতি ঘটবে না ও ধনে-জনে সমৃদ্ধ শালী থাকবে। ইনশা'আল্লাহ 



দরূদে রু’ইয়াতে নবী করিম (সাঃ)

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍنِ النَّبِيِّ اْلاُمِيِّ

(আল্লাহুম্মা সাল্লি আ’লা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিনি ন্নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি)

ফযিলত:
 হযরত বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী (রঃ) লিখেছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার রাতে দুই রাকাত নফল নামাজ এই নিয়্যতে পড়ে যে, প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহার পর ১বার আয়াতুল কুরসী ও ১৫বার সূরা ইখলাস এবং নামাজ শেষে এই দুরূদ শরীফ ১০০০ বার 
পড়বে অবশ্যই সে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দেখতে পাবে। যদি ঐ রাতে না দেখে তবে ২য় শুক্রবার 
আসার পূর্বে দেখতে পাবে। এবং তার সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। ইনশা'আল্লাহ 




দরূদে খাইর

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا وَنَبِيِّنَا وَشَفِيْعِنَا وَمَوْلَآنَا مُحَمَّدٍ صَلَّي اللهَ عَلَيْهِ وَعَليٰ اٰلِهٖ وَاَصْحَابِهِ وَاَزْوَاجِهِ وَبَارِكْ وَسَلِّمْ

(আল্লাহুম্মা সাল্লি আ’লা সাইয়্যিদিনা ওয়া নাবিয়্যিনা ওয়া শাফীয়িনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিন 
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আ’লা আলিহী ওয়া আসহাবিহী ওয়া আযওয়াজিহী ওয়া বারিক ওয়া সাল্লিম।)

ফযিলত:
যিনি সর্বদা এই দুরূদ শরীফ আমল করবেন- তিনি অবশ্যই দেশের সর্দার হবেন। যদি তা না হয়, তবে অন্তত স্বীয় বংশের সর্দার রূপে বা শ্রেষ্ঠ ধনী রূপে ইজ্জত পাবেন। প্রত্যহ চাশ্ত নামাযের পর ২১বার পড়লে ইনশা'আল্লাহ ধনী হয়ে যাবে।




বৃষ্টির সময় এই দুরূদ শরীফ পড়া উত্তম

اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَّسَلِّمْ عَلىٰ سَيِّدِنَا وَمَوْلَانَا مُحَمَّدٍ وَّ علىٰ اٰلِهٖ سَيِّدِنَا وَمَوْلَانَا مُحَمَّدٍ بِعَدَدِ قَطْرَاتِ الْأَمْطَارِ

(আল্লাহুম্মা ছাল্লি ওয়া সাল্লিম আ’লা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আ’লা আলিহি সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিন্ বি আদাদি ক্বাতরাতিল আমতার)

ফযিলত: 
বৃষ্টি আসার সময় এই দুরূদ শরীফ পাঠ করলে যতগুলো ফোটা মাটিতে পড়ে ততগুলো ছাওয়াব পাওয়া যাবে।



অন্তরকে আলোকিত করার উপায়:

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلىٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ نُوْرِ اْلاَنْوَارِ وَسِرِّ اْلاَسْرَارِ وَسَيِّدِ اْلاَبْرَارِ-

(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন নূরীল আনওয়ারি ওয়া র্সিরিল আসরারি 
ওয়া সইয়্যিদিল আবরার)

ফযিলত:
এ দুরূদ শরীফ নিয়ামিত পাঠ করলে নিজ ক্বলবে নূর পয়দা হবে।



মাগফিরাতের দুরূদ শরীফ

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلىٰ سَيِّدِنَا وَمَوْلَانَا مُحَمَّدٍ وَعَلىٰ اٰلِهٖ وَسَلِّم

(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আ’লা আলিহি ওয়া সাল্লিম)

ফযিলত: 
তাজেদারে মদীনা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমান যে ব্যক্তি এই দুরূদ শরীফ 
পড়বে যদি দাঁড়ানো থাকে তবে বসার পূর্বে এবং বসা থাকলে দাঁড়ানোর পূর্বেই তার গুনাহ 
মাফ করে দেওয়া হবে।



২০ টি দুরুদ শরীফ ও ফজিলত এক সাথে দেয়া

(১) কাদেরীয়া তরীকার শ্রেষ্ঠ দুরূদ শরীফ

اَللَّهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ وَعَليٰ اٰلِ سَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ وَبَارِكْ وَسَلِّمْ

উচ্চারণ
আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মাদিন ওয়ালা আ-লি সয়্যিদিনা মাওলানা 
মুহাম্মাদিন ওয়া বারিক ওয়া সাল্লিম।


 (২) জিয়ারতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ رُوْحِ مُحَمَّدٍ فِي اَلْاَرْوَاحِ وَعَليٰ جَسَدِهِ فِي اَلْاَجْسَادِ وَعَليٰ قَبَرِهِ فِي الْقُبُوْرِ

উচ্চারণ
আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা রুহি মুহাম্মাদিন্ ফিল আর ওয়াহি ওয়ালা জাসাদিহি ফিল আজসা-দি ওয়ালা ক্ববরিহি ফিল ক্বুবুর। 

 

(৩) যেকোন সমস্যা সমাধানের জন্য পড়ুন

قَلَّتْ حِيْلَتِيْ اَنْتَ وَسِيْلَتِيْ اَدْرِكْنِي يَا رَسُولَ اللهِ صَلَّي اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

উচ্চারণ
ক্বল্লাত হিলাতী আন্তা ওয়াসিলাতি আদ্ রিকনি ইয়া রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম

ফযিলত
যেকোন সমস্যার সমাধানের জন্য পড়ন ইনশাআল্লাহ বৃথা যাবে না।

 

(৪) হিসাব নিকাশ ও আযাব থেকে মুক্তি লাভের দরুদ

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ مُحَمَّدٍ كُلَّمَا ذَكَرَهُ الذّٰكِرُونَ وَصَلِّ عَليٰ مُحَمَّدٍ كُلَّمَا غَفَلَ عَنْ ذِكْرِهِ الْغَافِلُوْنَ

উচ্চারণ
আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা মুহাম্মাদিন কুল্লামা যাকারা হুজ্জাকিরুনা ওয়া আ’লা মুহাম্মদিন 
কুল্লামা গাফালা আন্ যিকরিহিল গাফিলু-ন।

ফযিলত
ইমাম শাফেয়ী (র:) এই দুরূদ শরীফ পড়তেন। এই দুরূদ শরীফের উছিলায় হিসাব-নিকাশ থেকে মুক্তি পাবেন। প্রতিদিন ১১১ বার পাঠ করলে ঈমানের হিফাজত এবং ঈমানের সাথে ইনতেকাল হবে।

 

(৫) ধন সম্পদ বৃদ্ধির দরুদ

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ عَبْدِكَ وَرَسُولِكَ وَعَليٰ المْؤُمِنِيْنَ وَالمْؤُمِنَاتِ وَالْمُسْلِمِينَ وَالْمُسْلِمَاتِ

উচ্চারণ
আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন্ আবদিক ওয়ারাসূলিকা ওয়াআলাল মুমিনীনা ওয়া মুমিনাতি ওয়াল মুসলিমীনা ওয়াল মুসলিমাতি।

ফযিলত
ছাহেবে রুহুল বয়ান এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি এই দুরূদ শরীফ নিয়মিত পাঠ করবে তার ধন-
সম্পদ দিন রাত বৃদ্ধি হতে থাকবে।

 

(৬) স্মরণ শক্তি বৃদ্ধির দরুদ

اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ وَبَارِكْ عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍنِ النَّبِّيِ الْكَامِلِ وَعَليٰ اٰلِهِ كَاَب لَانِهَايَةَ لِكَمَالِكَ وَعَدَدَ كَاَعلِهٖ

উচ্চারণ
আল্লাহুম্মা ছাল্লি ওয়া সাল্লিম ওয়া বারিক আ’লা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিনিন্ নাবিয়্যিল কামিলি ওয়া 
আ’লা আলিহি কামা-লা-নিহায়াতা লিকামালিকা ওয়া আদাদা কামালিহি।

ফযিলত
মাগরিব এশার মধ্যবর্তী সময়ে এই দুরূদ শরীফ পাঠ করলে স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি পাবে।

 

(৭) ঈমানের সহিত মৃত্যু

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ مُّنْطَلِقِ عِنَانِ جَوَادِ الاِيْمَانِ فِي مَيْدِانِ
 الاِحْسَانِ مُرْسِلاً مُرْشِدًا اِليٰ رِيَاحِ الْكَرَمِهِ فِي رَوْضِ الجْنَانِ وَعَليٰ اٰلِ مُحَمَّدٍ وَّسَلِّمْ

উচ্চারণ
আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা সায়্যিদিনা মুহাম্মদিম মুনতালিকি ইনানি জাওয়াদিল ঈমানি ফি মিদানিল 
ইহসানি মুরসিলাম্ মুরশিদান ইলা রিয়াহিল কারামিহি ফি রাওদিল জানানি ওয়া আ’লা আলি 
মুহাম্মাদিও ওয়া সাল্লিম।

ফযিলত
উক্ত দুরূদ শরীফের উছিলায় ঈমানে সহিত মৃত্যু নসিব হবে।

 

(৮) দরুদে গাউসিয়া

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا وَمَوْلَانَا مُحَمَّدٍ مَّعْدَنِ الْجُوْدِ وَالْكَرَمِ وَاٰلِهٖ وَبَارِكْ وَسَلِّمْ

উচ্চারণ
আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা সয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিম মাআ’দিনিল যুদি ওয়াল কারামি ওয়া আলিহি ওয়া বারিক ওয়া সাল্লিম।

ফযিলত
এ দুরূদ শরীফ পাঠ করলে-জীবিকায় বরকত হবে, সমস্ত কাজ সহজ হবে, মৃত্যুকালে কলেমা নসীব হবে, প্রাণবায়ু সহজে বের হবে, কবর প্রশস্ত হবে, কারো মুখাপেক্ষী থাককেনা, আল্লাহর সৃষ্টি তাকে ভালোবাসবে।

 

(৯) দরুদে রেযভিয়্যাহ

صَلَّي اللهُ عَليٰ النَّبِيِّ الْاُمِّيِّ وَاٰلِهٖ صَلَّي اللهُ عَلَيْهِ وَسَلِّمْ صَلوٰةً وَّسَلاماً عَلَيْكَ يَا رَسُوْلَ الله

উচ্চারণ
ছাল্লাল্লাহু আলান নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলিহি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছালাতাও ওয়া সালামান আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ।

ফযিলত
এ দুরূদ শরীফ প্রত্যেক নামায ও জুমার নামাযের পর খাস করে মদীনা মনোয়ারার দিকে মুখ করে ১০০ বার পাঠ করলে অগণিত ফযিলত অর্জন হয়।

 

(১০) বদ অভ্যস পরিত্যাগ করার দরুদ

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ اَفْضَلِ اَنْۭبِيَائِكَ وَاَكْرَمِ اَصْفِيَائِكَ مَنْ فَاضَتْ مِنْ نُّوْرِهِ جَمِيْعِ
 الْاَنْوَارِ وَصَاحِبِ الْمُعْجِزَاتِ وَصَاحِبِ الْمَقَامِ الْمَحْمُوْدِ سَيِّدِ اْلاَوَّلِيْنَ وَاْلاَخِرِيْنَ

উচ্চারণ
আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন আফ্দালি আম্বিয়ায়িকা ওয়া আকরামি আছফিয়াইকা মান ফাদাত মিন্ নূরীহি জামিয়্যিল আনওয়ারী ওয়া ছাহিবিল মুজিযাতি ওয়া ছাহিবিল মাক্বামিল মাহমুদি সৈয়্যেদিল আওয়ালিনা ওয়াল আখিরিনা।

ফযিলত
এই দুরূদ শরীফ অধিক পরিমানে পাঠ করলে যে কোন অপকর্ম করা হতে বিরত থেকে ইবাদত বন্দেগীতে স্বাধ পাবেন।

 

(১১) উভয় জাহানের নেয়ামত অর্জন

اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَّسَلِّمْ وَبَارِكْ عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍوَّعَليٰ اٰلِهٖ عَدَدَ اِنْعَامِ اللهِ وَاَفْضَالِهٖ

উচ্চারণ
আল্লাহুম্মা ছাল্লি ওয়া সাল্লিম ওয়া বারিক আ’লা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিও ওয়া আ’লা আলিহি আদাদা ইনআ’মিল্লাহি ওয়া আফদ্বালিহি।

ফযিলত
এই দুরূদ শরীফ পড়লে অগণিত নেয়ামত অর্জিত হয়। 

 

(১২) দরুদে শিফা

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا وَمَوْلۤانَا مُحَمَّدٍ طِبِّ الْقُلُوْبِ وَدَوَائِهَا وَعَافِيَةِ الأَبْدَانِ وَشِفَائِهَا وَنُوْرِ الاَبْصَارِ وَضِيَائِهَا وَعَليٰ اٰلِهٖ وَصَحْبِهٖ وَسَلِّمْ

উচ্চারণ
আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা সয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিন তিব্বিল কুলুবি ওয়া দাওয়া-ই হা ওয়া আফিয়াতিল আবদানি ওয়া শিফায়িহা ওয়া নুরীল আবছারি ওয়া দ্বিয়ায়িহা ওয়া আ’লা আলিহি ওয়া ছাহ্বিহি ওয়া সাল্লিম।

ফযিলত
এ দুরূদ শরীফ যেকোন জটিল ও কঠিন রোগ মুক্তির জন্য পড়া প্রয়োজন। প্রত্যহ সকাল সন্ধ্যা ৩বার করে পড়লে মৃত্যু পর্যন্ত নিরোগ থাকা যায়।

 

(১৩) দরুদে শাফায়াত

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ مُحَمَّدِوَّ اَنْزِلْهُ الْمَقْعَدَ الْمُقَرَّبَ عِنْدَكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

উচ্চারণ
আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা মুহাম্মাদিও আন্যিলহুল মাক্বয়াদাল মুর্কারাবা ইনদাকা ইয়াউমাল কিয়ামাতি।

ফযিলত
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ ফরমান যে ব্যক্তি এ দুরূদ শরীফ পড়বে তার জন্য আমার সুপারিশ ওয়াজিব হয়ে যাবে।

 

(১৪) প্রিয় নবীর নৈকট্য লাভের উপায়

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ مُحَمَّدٍ كَاَ تُحِبُّ وَتَرْضٰى لَه

উচ্চারণ
আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা মুহাম্মাদিন কামা তুহিব্বু ওয়া ত্বারদ্বা লাহু।

ফযিলত
একদিন এক ব্যক্তি হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসলে তিনি তাকে সিদ্দিকে আকবর রাদ্বিআল্লাহু আনহু এবং নিজের মাঝখানে বসালেন তখন উপস্থিত সাহাবায়ে ক্বেরামগণ প্রশ্ন করলেন কেন উনাকে এত নিকটে বসালেন তিনি বললেন যে সে এই দুরূদ শরীফ নিয়মিত পড়ে।

 

(১৫) দুনিয়া ও আখেরাতে নিরাপদ থাকার উপায়

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَّ اٰلِهٖ وَصَحْبِهِ وَسَلِّمْ بِعَدَدِ مَا فِي جَمِيْعِ الْقُرْاٰنِ حَرْفًا حَرْفًا وَّبِعَدَدِ كُلِّ حَرْفٍ اَلْفاً اَلْفاً

উচ্চারণ
আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিও ওয়া আলিহি ওয়া ছাহবিহি ওয়া ছাল্লিম বি আদাদি মাফি জামিয়িল কুরআনই হারফান্ হারফাও ওয়া বি আদাদি কুল্লি হারফিন আল্ফান আল্ফান।

ফযিলত
যিনি কোরআন তেলাওয়াতের পর এই দুরূদ শরীফ পাঠ করবেন তিনি দুনিয়া ও আখিরাতে নিরাপদ থাকবেন।

 

(১৬) এক লক্ষ দুরূদ শরীফের ছাওয়াব

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلىٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدِنِ النُّوْرِ الذَّاتِي السَّارِئ فِي جَمِيْعِ الْاۤثَارِ وَاْلاَسْمَاءِ وَالصِّفَاتِ وَعَلىٰ اٰلِهٖ وَصَحْبِهٖ وَسَلِّمْ

উচ্চারণ
আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদি নিন্ নূরিয্ যাতিস্ সারি ফি জামিইল আছারি ওয়াস ছিফাতি ওয়া আ’লা আলিহি ওয়া ছাহ্বিহি ওয়া সাল্লিম।

ফযিলত
এ দুরূদ শরীফ ১বার পাঠ করলে এক লক্ষ দুরূদ শরীফের ছাওয়াব পাবে। ৫০০ বার পড়লে যে কোন নেক হাজাত পূর্ণ হবে। ইনশা আল্লাহ।

 

(১৭) ছয় লক্ষ দুরূদ শরীফ পড়ার ছাওয়াব

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلىٰ سَيِّدِنَا وَمَوْلانَا مُحَمَّدٍ عَدَدَ مَا فِي عِلْمِ اللهِ صَلَوٰةً دائمةً ۭبِدَوَامِ مُلْكِ اللهِ

উচ্চারণ
আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা সায়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিন আদাদা মা ফি ইলমিল্লাহি ছালাতান্ দায়িমাতাম বিদাওয়ামি মুলকিল্লাহ।


ফযিলত
শায়খুদ দালাইল সৈয়দ আলী বিন ইউসুফ মাদানী রহমাতুল্লাহি আলাই আল্লামা জালালুদ্দিন সু’য়ূতি থেকে বর্ণনা করেন এ দুরূদ শরীফ ১বার পড়লে ছয় লক্ষ দুরূদ শরীফের ছাওয়াব মিলবে। যিনি ১০০০ বার পড়বে দুনিয়া ও আখিরাতে নেক্ বখ্ত হবে।

 

(১৮) এগার হাজার দুরূদ শরীফ পড়ার ছাওয়াব

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلىٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَّ عَلىٰ اٰلِهٖ صَلَوٰةً اَنْتَ لَهَا اَهْلٌ وَّهُوَ لَهَا اَهْلٌ

উচ্চারণ
আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিও ওয়া আ’লা আলিহি ছালাতান আনতা লাহা 
আহলুও ওয়া হুয়া লাহা আহলুন।

ফযিলত
হাফিজ আল্লামা সুয়ূতী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত এই দুরূদ শরীফ ১বার পড়লে 
এগার হাজার বার পড়ার ছাওয়াব মিলবে।

 

(১৯) চৌদ্দ হাজার দুরূদ শরীফ পড়ার ছাওয়াব

اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَّسَلِّمْ وَبَارِكْ عَلىٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَّعَلىٰ اٰلِهٖ عَدَدَ كَاَ لِ اللهِ وَكَاَا يَلِيْقُ بِكَمَالِهٖ

উচ্চারণ
আল্লাহুম্মা ছাল্লি ওয়া সাল্লিম ওয়া বারিক আ’লা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিও ওয়া আ’লা আলিহি 
আদাদা কামালিল্লাহি ওয়া কামা ইয়ালিকু বি কামালিহি।

ফযিলত
এই দুরূদ শরীফ শুধু ১বার পড়লে ১৪ হাজার দরূদে পাকের ছাওয়াব মিলবে।

 

(২০) মুখের দুর্গন্ধ দূর করার উপায়

اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلىٰ النَّبِيِّ الطَّاهِرِ

উচ্চারণ
আল্লাহুম্মা ছাল্লি ওয়া সাল্লিম আলান নবিয়্যিত ত্বাহিরি।

ফযিলত
এক নিশ্বাসে ১১বার এই দুরূদ শরীফ পাঠ করলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

  1. হাদিস রেফারেন্স গুলো শুধু মাত্র বুখারী শরীফ থেকে মেলাতে সক্ষম হলাম না। সহযোগীতা কাম্য।

    উত্তরমুছুন